বিশ্বকে সৌদি আরবের আরেক চমক, আসলে সেখানে ঘটছে কী? - জিনিয়াস ২৪ বিডি

নতুন কিছু জানতে সব সময় চোখ রাখুন

Smiley face

সর্বশেষ

Home Top Ad

For add : 01689145308

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday 5 March 2018

বিশ্বকে সৌদি আরবের আরেক চমক, আসলে সেখানে ঘটছে কী?



গত বছর ২০১৭-এর নভেম্বরে আকস্মিকভাবেই সৌদি রাজপুত্র এবং রাজকর্মকর্তাদের গ্রেফতার পৃথিবীকে চমকে দেয়। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে এই সকল গ্রেফতারের পর তদন্ত বিষয়ে সৌদি সরকারের রহস্যজনক নীরবতা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।


এখন আরও একবার বাদশাহ সালমান কেবল একটি আদেশের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে উচ্চপদস্থ সামরিক নেতাদেরকে ঘরে পাঠিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় আরেকটি বড় সারপ্রাইজ দিলেন। সৌদি আরবের পরিবর্তন কেবল সরকারি পদেই নয়, বরং সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আসছে বড় ধরণের পরিবর্তন। ক্রমপরিবর্তনমুখী সৌদি আরবকে বড় আশ্চর্য ও কৌতূহলের সাথে দেখছে বিশ্ব।
বাদশাহ সালমান সৌদি আরবের এ সকল পরিবর্তনের ভিত্তি তখনই স্থাপন করেছিলেন, যখন তিনি রীতি ভেঙে নিজ পুত্র মুহাম্মাদ বিন সালমানকে ‘নায়েবে অলিয়ে আহদ’ বা যুবরাজ মনোনীত করতে তার ভাতিজাগণ এবং শাহী খানদানের অন্যান্য সিনিয়রদেরকে বহিস্কার করেছিলেন। মুহাম্মাদ বিন সালমানকে ‘অলিয়ে আহদ’ বা যুবরাজ বানানোর সাথে সাথে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবেও নিয়োগ করা হয়। নওজোয়ান রাজপুত্র নিয়োগপ্রাপ্তির পরপরই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য ইয়েমেনে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়- যা তার নিতান্ত অনভিজ্ঞতা এবং সীমাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ।
ইয়েমেন যুদ্ধ চতুর্থ বছরে প্রবেশ করেছে তবে এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোন আলামত কোথাও পরীলক্ষিত না। বরং ইয়েমেন এখন আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর আখড়ায় পরিণত হয়েগেছে। ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধকে প্রথমে ইরান এবং সৌদি আরবের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখা হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে রাশিয়া ভেটো দিয়েছে। যার কারণে এই যুদ্ধ এখন কেবল সৌদি এবং ইরানের দ্বন্দ্ব হিসেবে না থেকে বরং দুই পরাশক্তি- আমেরিকা এবং রাশিয়ার প্রবেশের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংঘর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু করার পর অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের বিল উত্থাপন করে ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তে ভিশন-২০৩০ উপস্থাপন করেন। মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ কে সৌদি আরবের বড় ধরণের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ঘোষণা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সৌদি অর্থনীতির নির্ভরতা তেল থেকে অন্যান্য অর্থনৈতিক মাধ্যমের দিকে ফেরানো এই ভিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। এখন পর্যন্ত সামাজিক পরিবর্তনের অধীনে যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তন্মধ্যে নারীদেরকে গারি চালানোর অধিকার প্রদান, স্টেডিয়ামে খেলা দেখার অনুমতি, সিনেমা হল নির্মাণ, সেনাবাহিনীতে নারী নিয়োগ এবং উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নারীর অংশগ্রহণের মত পদক্ষেপও শামিল।
যখন ভিশন ২০৩০ এর এক বছর অতিবাহিত হল, তখন মোহাম্মদ বিন সালমান নিজের ক্ষমতাকে আরো মজবুত করতে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রেফতার করান- যাদের মধ্যে মুত’আব বিন আব্দুল্লাহ’র মত প্রভাবশালী শাহযাদা এবং ওয়ালিদ বিন তালালের মত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিও ছিলেন। ২০১৭ এর নভেম্বরে এ সকল গ্রেফতারের পর খবর রটানো হয়েছিলো যে, অননুমোদিতভাবে লুট করা সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং গ্রেফতারকৃতদের থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার জব্দ করা যাবে।
৩ মাস বন্দি রাখার পর শাহজাদা ও প্রভাবশালীদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবে কার থেকে কী পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা হল?
এর ব্যখ্যা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে স্বাধীন সূত্র মতে গ্রেফতারকৃতদের থেকে খুব অল্প অর্থই উসুল করা গেছে। এবং অধিকাংশ সম্পত্তি তহবিলে নিয়ে যাওয়ার চুক্তি হয়েছে। সৌদি আরবের মরুভূমিগুলোতে অবস্থিত বিশ্বয়-সম্পত্তি বিশ্ব বাজারে বিক্রি করা অসম্ভব এবং দেশীয় ক্রেতাও কমই পাওয়া যাবে।
এই বছরের বড় খবর হল চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ, এয়ার ডিফেন্স চিফ এবং রয়েল সৌদি এয়ার ফোরসের প্রধানদেরকে অপসারণ। উচ্চপদস্থ এ সকল সামরিক কর্মকর্তাদেরকে অপসারণের কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, তিনি উচ্চতর সামরিক পদ সমূহে এমন লোকদেরক দেখতে চান, যারা তার ওপর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর বিশ্বাস রাখে। গত বছরের নভেম্বরে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলাকালে সৌদি ন্যাশনাল গার্ডসের প্রধান মুত’আব বিন আব্দুল্লাহকে প্রথমেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এভাবে মোহাম্মদ বিন সালমান সেনাবাহিনীতে নিজের ক্ষমতাকে আরো শক্ত করে নিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হল, যুবরাজ তার তিন বছরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সত্বেও না পেরেছেন প্রশাসনে তার ক্ষমতাকে মজবুত করতে এবং না তেলের উপর সৌদি অর্থনীতির সীমাবদ্ধতায় কোন পরিবর্তন এসেছে। উল্টো ইয়েমেন যুদ্ধে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে। উচ্চপদস্থ সামরিক নেতৃত্বের আকস্মিক অপসারণ বাহিনীর মনোবলের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। যখন প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাদাদের গ্রেফতার এবং মুক্তিও যুবরাজের উদ্বেগ দূর করতে পারেনি- যার ইঙ্গিত মধ্যপ্রাচ্যের একটি ওয়েব সাইটের রিপোর্টে পাওয়া যায়।
মধ্যপ্রাচ্যের ওয়েব সাইটের রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত অংশ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ইচ্ছার উপর পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৬০০ জোয়ান আগে থেকেই সৌদি আরবে নিয়োজিত ছিল, এবার আরও ১০০০ সৈন্য অতিরিক্ত পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছিলো তবে সরকার কোন স্পষ্ট জবাব দিতে পারে নি।
রিপোর্ট অনুযায়ী অতিরিক্ত সৈন্য সৌদি রাজপরিবারের নিরাপত্বার জন্য পাঠানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অভিজ্ঞরা বলেন, সৌদি রাজপরিবারের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে স্থানীয় সৈন্যদের উপর তাদের আস্থা নেই, এজন্যেই মুলতঃ তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে সাহায্য চেয়েছে।
সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা ব্রুস রিডেল বলেন, পাক বাহিনীর সদ্য পাঠানো সৈন্যদল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের রাজকীয় রক্ষীদের সাথে সাহায্যকারী দল হিসেবে কাজ করবে। যে কোনও বিপদ বা ষড়যন্ত্রের সময়ে এই বাহিনী পাকিস্তান ও সৌদি রাজ পরিবারের বিশ্বস্ত ও অনুগত থাকবে।

ব্রুস রিডেল আরও বলেন, মোহাম্মদ বিন সালমান ৩ বছরের মধ্যে রাজপরিবারের সদস্য সহ বেশকিছু শত্রু বানিয়ে নিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের ওয়েব সাইটটির দাবী এবং ব্রুস রিডেলের বিশ্লেষণ কতটুকু সঠিক, তার সত্যায়ন বা অস্বীকার সংশ্লিষ্ট দলই করতে পারবে। কিন্তু অবস্থা এবং সাক্ষ্য সঠিক হওয়ার দিকেই ইশারা করে।
অন্যদিকে, ইয়েমেন যুদ্ধ সৌদি শাসকদের গলায় আটকে গেছে। এই যুদ্ধ ঘোষণার সময় ইরান হুথি বিদ্রোহীদের সাথে তেমন কোন শক্তিশালী সম্পর্ক রাখত না। তবে এখন বিদ্রহীদেরকে সহায়তা হিসেবে মিসাইল পর্যন্ত সরবরাহ করছে, যে মিসাইলগুলো সৌদির রাজধানী সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ লক্ষ্য করে পর্যন্ত নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
আরব আমিরাতে পর্যন্ত মিসাইল হামলা হয়েছে। এই হামলাগুলোতেও বিদ্রোহীদের প্রতি ইরানের সাহায্য ছিল- এমন ধারণা করা হচ্ছে। ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে সৃষ্ট মানবিকবোধও সৌদি আরবকে সারা বিশ্বে সমালোচনার পাত্র বানিয়ে রেখেছে। এই লড়াইয়ে আমেরিকার সাহায্য নিয়ে সৌদি আরব রাশিয়াকে আবার ইরানের পেছনে দাঁড় করিয়েছে। এই আন্তর্জাতিক গোলট যুদ্ধের কোন সমাধান অদূর ভবিষ্যতে দেখা যায় না।
যুবরাজের ‘ভিশন ২০৩০’ তেল নির্ভরতা হ্রাস সহ বেশ কিছু উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে হয়েছিলো। সৌদি আরবের স্থানীয় যুবকদেরকে চাকরি ও ব্যবসার দিকে আকৃষ্ট করা, এবং কিছু বিদেশি বিনিয়োগের পদক্ষেপ তেল নির্ভরতা হ্রাস বা শেষ করার গন্তব্যকে কাছেও আনতে পারেনি।
মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার উচ্চ ভাবমূর্তি তৈরি করার একটি ভালো হাতিয়ার ছিল তবে যমিনী বাস্তবতা থেকে তা ছিল বহু দূরে। আবার এদিকে কমতে থাকা তেল সম্পদও শাহী খানদানের ক্ষমতার জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে। সৌদি সরকার স্থানীয় নাগরিকদের বিশেষাধিকার হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের হুমকি দেওয়ার পর এই ঘোষণা তাদের ফিরিয়ে নিতে হয়। এখন সৌদি রাজপরিবারকে জনগণের গ্রহণযোগ্যতার আশ্রয় নিতে হচ্ছে যাতে অদূর ভবিষ্যতে আসা অর্থনৈতিক সমস্যা জনগণকে বিদ্রোহের দিকে না নিয়ে যায়।
নাগরিক গ্রহণযোগ্যতার জন্য সামাজিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। নারীদেরকে ড্রাইভিং করা, খেলার মাঠে যাওয়ার অনুমতি প্রদান এবং সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার মত পদক্ষেপ এই মজবুরি বা অপারগতারই অংশ। নারীদেরকে রাষ্ট্রীয় পদে নিয়োজিত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। নওজোয়ানদের উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং বিনোদনের উপরেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিনেমা ও সিনেমা হলের পেছনে বিনিয়োগও তারই একটি প্রকাশ। এখন সৌদি শুরাতেও (পরামর্শকদল) অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনে জনগণের অংশগ্রহনেরও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
‘ভিশন ২০৩০’ এ পর্যটন ও বিনোদনের উন্নতির জন্য সামাজিক স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই সামাজিক স্বাধীনতার জন্যেও সৌদি রাজ পরিবারকে সামাজিক বিতর্কের সম্মুখীন হতে হবে। কেননা ইতিপূর্বে সৌদি রাজ পরিবার আলেমদের সাহায্যে শাসন পরিচালনা করে আসছিল। তাই সরকারী নীতিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ওলামাদের প্রভাব রয়েছে।
তেল নির্ভরতা কমানো অর্থনীতির উন্নতি সৌদি হুকুমতের প্রথম অগ্রগণ্য বিষয়। কিন্তু একটি সময় এমন আসবে যখন সৌদি রাজ পরিবার রাজনৈতিক সংস্কারে আপোষ করতে বাধ্য হবে। যুবরাজ বা ভবিষ্যৎ বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য জরুরী যে, রাজনৈতিক সংস্কারে বাধ্য হওয়ার আগেই অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক উভয় লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত অগ্রসর হওয়া।
এই লক্ষ্য সমূহ অর্জনের জন্য সৌদি আরবকে আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাসবাদ এবং দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে হবে। ইয়েমেন যুদ্ধই কেবল আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব নয়। কাতার বয়কট, বাহরাইনে হস্তক্ষেপ এবং ইরানের বিরুদ্ধে লেবানন এবং সিরিয়ায় প্রক্সিযুদ্ধ সৌদি আরবের জন্য অনেক বড় প্রশ্ন। এই সকল দ্বন্দ্ব সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা বেড়ে যাওয়ার কারণও সৃষ্টি করছে। সামাজিক স্বাধীনতা রক্ষণশীল সমাজের জন্য হুমকিও হতে পারে এবং ওলামাদের আস্থা অর্জন ছাড়া এই সকল পদক্ষেপ উপকারের পরিবর্তে বড় ধরণের ক্ষতিরও কারণ হতে পারে।
দুর্নীতি যে কোন সমাজের জন্যই বড় হুমকি। রাজ পরিবারকে তাদের জীবনবোধও বদলাতে হবে। অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়ার সাথে সাথে জনগণের চোখ সবার আগে শাসনকর্তাদের জীবনবোধ ও চাল-চলনের দিকেই যায়। দুর্নীতি বিরোধী চলমান অভিযান স্বচ্ছ না হওয়ার কারণে আস্থা অর্জন করতে পারেনি। প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাদাদের সম্পদের হিসাব নিয়ে আবার নিজে বিদেশে সম্পদ গড়াও জনমনে গ্রহণযোগ্যতা তৈরির সকল পদক্ষেপের প্রভাব দূর করে দিতে পারে।
লেখকঃ ড. আসিফ শাহেদ। একজন সত্যনিষ্ঠ বিদগ্ধ সাংবাদিক। ২০ বছরেরও অধিককাল ধরে উর্দু ভাষার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করছেন। বর্তমানে পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে আন্তর্জাতিক ডেস্কের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here
Top