গর্ভের শিশুর নড়াচড়া - জিনিয়াস ২৪ বিডি

নতুন কিছু জানতে সব সময় চোখ রাখুন

Smiley face

সর্বশেষ

Home Top Ad

For add : 01689145308

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday 24 February 2018

গর্ভের শিশুর নড়াচড়া



গর্ভবতী হওয়ার এক পর্যায়ে মা টের পেতে থাকেন তার সন্তানের নড়াচড়া। গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া গর্ভবতীর জন্য খুব জরুরি বিষয়। এটি মোটেও অবহেলাযোগ্য কোনো বিষয় নয়। কারণ গর্ভের সন্তান কম নড়াচড়া করা মানে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়া। তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। প্রত্যেক শিশুর আলাদা এবং প্রত্যেক মায়ের উচিত, তিনি যেন সময় নিয়ে গর্ভের শিশুর নড়াচড়া করার নিজস্ব ধরনগুলোর ব্যাপারে পরিচিত হন।
গর্ভের শিশুর নড়াচড়ার গুরুত্ব : আপনার শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে কম নড়াচড়া করলে বা নড়াচড়ার ধরন বদলে গেলে বুঝতে হবে শিশু সুস্থ না বা গর্ভে ঠিকভাবে বেড়ে উঠছে না। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর নড়াচড়া কমে গেলে মৃত সন্তান প্রসবের আশঙ্কা বেড়ে যায়। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক শিশুই আলাদা। ফলে তার নিজস্ব নড়াচড়া এবং ঘুমোনো ও জেগে ওঠার ধরনও আলাদা। তবে যদি কম নড়ে তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কেউ কেউ বলতে পারেন, গর্ভাবস্থার শেষ দিকে এবং প্রসবে যাওয়া পর্যন্ত শিশু কম নড়াচড়া করে থাকে। এ কথা মোটেও সত্য নয়। কোনো রকম পরিবর্তন হলেই আপনার উচিত হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

গর্ভের শিশুর নড়াচড়া : সাধারণত গর্ভের ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে মায়েরা গর্ভস্থ সন্তানের নড়াচড়া টের পেয়ে থাকেন। প্রথমবার যারা গর্ভধারণ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে মুভমেন্ট বুঝতে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে। শিশুরা ঘুমের সময় কোনো মুভমেন্ট করে না। এই সিøপিং ফেইজ সর্বোচ্চ ৯০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অন্যান্য আরও যেসব সাধারণ কারণে মায়েরা বাচ্চার নড়াচড়া স্বাভাবিকের চেয়ে কম পেতে পারেন সেগুলো হচ্ছেÑ প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল সামনে থাকলে (অ্যান্টেরিয়র প্লাসেন্টা) মায়ের কিছু ওষুধের কারণে, যেমনÑ তীব্র ব্যথা বা ঘুমের ওষুধের কারণে মুভমেন্ট কমে যেতে পারে। কোনো কারণে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হলে কিংবা ফিটাল ডেথ হওয়ার আগে মুভমেন্ট কমে যায়। আ্যামনিওটিক ফ্লুইড কমে গেলে। মায়েরা আ্যালকোহল বা ধূমপানে অভ্যস্ত থাকলে। মায়ের মানসিক বা শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হলে। বাচ্চার নিউরোমাস্কুলার ডিজিজ থাকলে।
আপনার গর্ভের শিশুর নড়াচড়া কম বলে যদি প্রসূতি বিভাগে যেতে হয়, চিকিৎসক আপনাকে শিশুর নড়াচড়া এবং আপনার ও আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবেন। আপনার শিশুর হৃদস্পন্দন পরীক্ষাসহ একটি পূর্ণ প্রসবপূর্ব পরীক্ষা করা হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান হবে। এতে শিশুর চারপাশে তরলের পরিমাণ পরীক্ষা করা হবে। এটির নাম অ্যামনিওটিক ফ্লুইড। আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে শিশু কতটা বাড়ছে, তাও পরীক্ষা করে দেখা যায়। যদি ২৭ সপ্তাহের বেশি গর্ভবতী হয়ে থাকেন, আপনার শিশুর হৃদস্পন্দন অন্ততপক্ষে ২০ মিনিট ধরে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আপনি দেখতে পাবেন, আপনার শিশুর নড়াচড়ার সময় তার হৃদস্পন্দন বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে নিশ্চিন্ত হওয়া যায় যে, সব কিছু ঠিক আছে।
লেখক : গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক, গাইনি বিভাগ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বার : আল-রাজি কনসালটেশন অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কনকর্ড সেন্টার পয়েন্ট, ফার্মগেট, ঢাকা
০১৭১২৯৭৮১৫৯, ০১৯১২৩৬৭২৩৫

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here
Top