মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’সহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা এতদিন পৃথিবীর প্রতিবেশী লাল গ্রহটিকে মৃত বলেই জানিয়ে এসেছেন। এরপর গ্রহটি সম্পর্কে জানতে কিউরিসিটি রোভারকে পাঠানোর পর থেকেই নাসার বিজ্ঞানীরা জানতে থাকেন একের পর এক বিস্ময়কর তথ্য।
রাখ-ঢাক রেখে সাধারণ মানুষকে অবশ্য সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘মঙ্গলগ্রহে প্রাণ না থাকলেও পানির দেখা মিলেছে। এখন দেখা দরকার সেখানে মানুষ বসবাসের যোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলা যায় কিনা!’
সেই লক্ষ্যে অবশ্য কাজও শুরু করে দিয়েছে নাসা! এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বিশ্বের অপর শক্তিধর দেশগুলোও। এমনকি সৌদি আরবও মঙ্গল অভিযানের জন্য অর্থ ঢালছে।
মঙ্গলে যে প্রাণের সম্ভাবনা আছে, তা নাসার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর অনুগত বিজ্ঞানীরা স্বীকার করলেও একদা যে সেখানে প্রাণীও ছিল তা কখনই বলেনি। এমনকি গত মাসে কিউরিসিট রোভারের পাঠানো বেশ কিছু ছবি সম্পর্কেও নিশ্চুপ রয়েছে নাসা। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মী এবং এলিয়েন বিশ্বাসীদের কারণে সেসবের কিছু ছবি ঠিকই ফাঁস হয়ে যায়।
ছবিতে দেখা গেছে, মঙ্গল গ্রহের বুকে পড়ে রয়েছে একাধিক প্রাণীর রহস্যময় জীবাশ্ম। যা প্রমাণ করছে এক সময় লাল গ্রহটিতে ছিল প্রাণের মেলা। হয়তো বা এখনও গ্রহটি প্রাণশূন্য হয়ে পড়েনি।
একদল বিজ্ঞানী বলছেন, ছবিতে যেসব ফসিলের দেখা মিলেছে তা খুব বেশি বড় নয়। যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসিএবি (Buckingham Centre for Astrobiology)’র গবেষক ব্যারি ডিগ্রেরিও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ছবিগুলোয় যে জীবাশ্মের অস্তিত্ব রয়েছে তা প্রথম দেখাতেই বোঝা যায়। তাছাড়া এর মাধ্যমে গ্রহটিতে যে প্রাণ ছিল তার প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে।’
ছবি দেখে তার ধারণা, নরম প্রাণীর জীবাশ্মগুলো কম করে হলেও ৭শ’ কোটি বছর আগের। ব্যারি বলছেন, এমন অকাট্য প্রমাণ পাওয়ার পর নাসা’র এখন উচিত বিষয়টি জনসমক্ষে আনা। স্বীকার করা যে ‘মহাকাশে শুধু পৃথিবীতেই নয়, অনেক গ্রহেই প্রাণ আছে!’
ফাঁস হওয়া ছবিতে যা দেখা গেছে তা যে ছোট্ট খবর নয়, তা নাসা’ও অস্বীকার করছে না। তবে তাদের দাবি হচ্ছে, সেগুলো জীবাশ্ম মনে হলেও আদতে তা নয়! সংস্থাটির দাবি, মঙ্গলের বুকে জেগে থাকা কাঁচের আকৃতিগুলোকে জীবাশ্ম বলে মনে হচ্ছে। তবে ভালো করে পরীক্ষার আগে কিছুই বলা ঠিক নয়!
No comments:
Post a Comment