জীবনঘাতী এই রোগটি যেন মৃত্যুর আরেক রূপ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই সব থেকে ভাল পথ হচ্ছে ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা। ক্যান্সার যাতে শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা। হোক না সেটি কিছু অভ্যাস ত্যাগ, কিংবা বিশেষ কিছু খাবার গ্রহণ। জনপ্রিয় সাময়িকী রিডার্স ডাইজেস্টে উল্লেখ করা হয়েছে এমন কিছু খাবারের নাম, যেগুলোতে নাকি ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিদিনের তালিকায় এই খাবারগুলো থাকলে কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। ব্রোকলি ব্রোকলিকে বলা হয়ে থাকে ক্যান্সার প্রতিরোধের সুপার ফুড। তবে তা রান্না করতে হবে চুলায়। মাইক্রোওয়েভে রান্না করা হলে সবজিটির শতকরা ৯৭ ভাগ ক্যান্সার প্রতিরোধী ফ্লেভনোওয়েড ধ্বংস হয়ে যায়। তাই এটাকে ভাপিয়ে, স্যুপ অথবা সালাদ হিসেবে খাওয়াই ভালো। রসুন রসুনে রয়েছে সালফার যৌগ যা ক্যান্সার প্রতিষেধক। এটি টিউমারের বৃদ্ধি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে রসুন পাকস্থলির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। টক জাতীয় ফল-লেবু অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখেছেন, প্রতিদিন সাইট্রাস জাতীয় ফল, যেমন লেবু খেলে মুখ, গলা এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। সামুদ্রিক মাছ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন সামুদ্রিক মাছ খান তাদের ব্লাড ক্যান্সারের লিউকেমিয়া, ম্যাইলোমা এবং নন-হডক্কিনের লিম্ফোমিয়া বিকাশের সম্ভাবনা কম থাকে। অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে চর্বি জাতীয় মাছ খেলে নারীদের এনডোম্যাটেরিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পেঁয়াজ পেঁয়াজ খেলে শতকরা ৫০ ভাগ প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। কিন্তু এটি রান্না করে খেলে গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। লাল চা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপ লাল চা পান করেন তাদের শতকরা ৩২ ভাগ ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। আপেল জার্মান গবেষকদের মতে, আপেলে থাকা প্রাকৃতিক আঁশ ক্যান্সার কোষ গঠন প্রতিরোধে যুদ্ধ করে। অন্য আরও অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যাপিন্যিন্ডিন নামে পরিচিত। এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে। গাজর গাজর বিট
Top
No comments:
Post a Comment