সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে কন্ঠশিল্পী তাহসান যেন এক ভালোবাসা ও আবেগের নাম। সেই ভালোবাসার সাথে যোগ হয়েছে সাপ্তহিক ছুটির দিন শনিবার। এই যেন এক অন্য রকম পরিবেশ।
তারুণ্যের বাঁধ ভাঙা জোয়ার এসে মিলিত হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস উনিভার্সিটিতে। লাল শাড়ি আর লাল লিপস্টিকে এই প্রজন্মর তরুণীরা এসেছে তাহসানকে স্বাগত জানাতে। সিকিউরিটি গার্ডের দুই স্তর বিশিষ্ট সেফ জোনে ভেঙে তরুণীদের লাইন এখন ড্রেসিং রুমের দিকে।
পুরো থিয়েটারের আশে-পাশে তাহসানের পোস্টারের সাথে বসানো হয়েছে বিশাল আকারের ফটো সেশন গ্যালারি।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাঙালি পাড়াগুলো আসতে শুরু করেছে ফ্যামিলি এবং মধ্যে বয়সী দর্শক। এই মিছিলে বাদ যায়নি প্রবীণ বাংলাদেশিরা। ৭০ বছরের বেশি প্রবীণ এক কমিনিটি নেতা এসেছেন তাহসানকে দেখতে। আর আয়োজকদের বিরক্ত করছেন কখন স্টেজ আসবে। ভালোবাসা দিবসের সন্ধ্যাকে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি আপন করে নিয়েছে অনুষ্ঠানের ঘোষণার পর থেকে। সামাজিক মধ্যে ছিল ব্যাপক আলোচনা।
লাক্স সুপার ষ্টার তাজ্জি ও সারিফের উপস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠান ছিল প্রাণবন্ত। তাহসান ঈর্ষা গান দিয়ে তার অনুষ্ঠান শুরু করেন। এ সময় পুরো থিয়েটার হলের চাপ সামলাতে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হয়। আয়োজকদের মধ্যে সাহারারির মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। মেড ইন বাংলাদেশ নামে এই ভালোবাসা বিদস কনসার্টে নাবিদ মাহমুদ এবং সংগীতশিল্পী মিনারের স্টেজ শো দর্শকদের মাতিয়ে রাখে।
এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল এনটিভি অস্ট্রেলিয়া। সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এই প্রথম কোনো ইনডোর অনুষ্ঠান আয়োজনে সফল হয়েছে। পুরো কমিউনিটিতে এখন এই আলোচনা।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, আপনাদের সকলের সহযোগিতার কারণে এই অনুষ্ঠান সফল হয়েছে, বিশেষ করে সকল ভোলান্টারি মেম্বারকে যাদের কঠোর পরিশ্রমে এই অনুষ্ঠান সার্থক হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে মেড ইন বাংলাদেশের রায়হান, শাহরিয়ার, আজাদ এবং সাব্বির সকল স্পন্সর এবং অনুষ্ঠানের সাথে আয়োজিত সকলকে ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
No comments:
Post a Comment