যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলীয় পানিতে বিপন্নপ্রায় নীল তিমিদের রহস্যময় গান রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু তারা আসলে গানের কথায় কী বলছে, তা জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
তারা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ওই তিমির মুখ থেকে বের হওয়া শব্দ রেকর্ড করেছেন। নীল তিমিরা কীভাবে একটি অন্যটির সঙ্গে যোগাযোগ করে, তা জানতে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শব্দ রেকর্ড করেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিপন্নপ্রায় নীল তিমি রক্ষার উপায় বের করতে তারা এ গবেষণা করছেন।-খবর মেইল অনলাইন।
চ্যানেল আইল্যান্ডে পানিতে সাঁতার কাটা নীল তিমিদের গায়ে মাইক্রোফোন বেঁধে দেয়া হয়, যাতে এতে তাদের যোগাযোগে ব্যবহৃত শব্দ রেকর্ড করা যায়। মাইক্রোফোনে বিভিন্ন ধরনের শব্দ রেকর্ড হয়েছে। তিমিরা একটি অন্যটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে এসব শব্দ ব্যবহার করছে।
গবেষকরা বলেন, এতে করে তিমিদের রুটিন সম্পর্কে জানা যাবে। এমনকি তাদের বাঁচিয়ে রাখতে কী করা প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও ধারণা লাভ করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তাদের এই গবেষণার মাধ্যমে তারা নীল তিমি বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
একেকটি নীল তিমি অত্যন্ত শতাধিক ফুট লম্বা ও তিন লাখ ৭৯ হাজার পাউন্ড ওজনের। এই বিপন্নপ্রায় নীল তিমিই পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ প্রাণী বলে মনে করা হচ্ছে।
পরস্পরকে ডাকতে নীল তিমিরা যে শব্দ করছে, তার অর্থ এখনও জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে এই প্রাণীর যোগাযোগের কৌশল বুঝতে এই শব্দের ওপর গবেষণা খুব কাজে দেবে বলে তারা মনে করেন। গত ১৪ বছর ধরে এ গবেষণা চলছে।
গবেষক দলের প্রধান অ্যানা সিরোভিক বলেন, এ গবেষণা বিপন্ন প্রজাতির নীল তিমি রক্ষা করতে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে। যদিও নীল তিমির ভাষা বোঝা আমাদের জন্য খুবই কঠিন একটি কাজ।
পুরুষ নীল তিমিরা রাতের বেলায় বেশি কথা বলে। বিশেষ করে যখন তারা ক্ষুধামুক্ত থাকে। কাজেই এটার সঙ্গে উৎপাদনের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
No comments:
Post a Comment