মাদকাসক্ত ১২ বছরের শিশুকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বাবা - জিনিয়াস ২৪ বিডি

নতুন কিছু জানতে সব সময় চোখ রাখুন

Smiley face

সর্বশেষ

Home Top Ad

For add : 01689145308

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, 13 February 2018

মাদকাসক্ত ১২ বছরের শিশুকে নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বাবা

বারো বছর বয়সী একমাত্র ছেলের মাদকাসক্তিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন বাবা। নেশার টাকার জন্য বাবাকে মারধর, ভাঙচুর এবং চুরির মতো অপকর্মে জড়িয়েছে ছেলে মো. রায়হান। কোনভাবেই এসব থেকে তাকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ছেলেকে সংশোধনের জন্য কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হন বাবা মো. মিলটন মিয়া। তবে ঢাকা সিএমএম আদালতের মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

 

আদালত বলেছেন, আরও এক সপ্তাহ দেখতে। এরপর ভালো না হলে আবার নিয়ে আসতে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক নিজেও বুঝিয়ে বলেছেন শিশুটিকে। এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন শিশুটিকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে রাখার পারামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার কাকেরতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. মিলটন মিয়া জানান, তার দুই মেয়ে এক ছেলে। একমাত্র ছেলে মো. রায়হান। পরিবার নিয়ে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন পাকুরিয়া এলাকার এ ব্লকের ৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থেকে ফুটপাতে ব্যবসা করেন। দুই মেয়ে পড়ালেখা করলেও সঙ্গদোষে ছেলে পড়ালেখা ছেড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সে এই বয়সে সিগারেট, গাজা এমনকি ফেনসিডিল পর্যন্ত সেবন করে।
মিলটন মিয়া পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘নেশার টাকা জোগাড় করতে সে বাসার জিনিসপত্র বিক্রি করে দেয় এবং একদিন পাঁচ হাজার টাকা চুরিও করে। আমাকেও মারধর করে। কোনভাবেই তাকে নেশামুক্ত করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, তাই বাধ্য হয়ে কিছুদিন আগে তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম টঙ্গীর কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে রাখতে। কিন্তু তারা বলেছে, আদালতে নির্দেশ ছাড়া সেখানে কাউকে রাখা যাবে না। এ কারণে আজ (মঙ্গলবার) তাকে আদালতে নিয়ে এসেছিলাম কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য। কিন্তু আদালত আজ পাঠানোর আদেশ দিলেন না।
এ সম্পর্কে আইনজীবী মো. মনির হোসেন রিপন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা আদালতে নেশার টাকার জন্য চুরি, মারধরের অভিযোগে ওই শিশুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নেশামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করেছিলাম।’
কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে না পাঠানোর বিষয়ে ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান পরিবতর্ন ডটকমকে বলেন, শুনানির সময় আমরা শিশুটিকে বুঝিয়েছি। বিচারক নিজেও বুঝিয়ে বলেছেন।
তিনি বলেন, বিচারক এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন শিশুটিকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে রাখার পারামর্শ দিয়েছেন। এরপরও যদি ঠিক না হয় আদালতে নিয়ে আসতে বলেছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here
Top