১৭ বাংলাদেশির বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত, সোমবার দেশে ফেরত : আরো ৯ জন বহিষ্কারের পথে - জিনিয়াস ২৪ বিডি

নতুন কিছু জানতে সব সময় চোখ রাখুন

Smiley face

সর্বশেষ

Home Top Ad

For add : 01689145308

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, 12 February 2018

১৭ বাংলাদেশির বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত, সোমবার দেশে ফেরত : আরো ৯ জন বহিষ্কারের পথে

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে গ্রেফতার হওয়া বৈধ কাগজপত্রহীন অন্তত ১৭ জন বাংলাদেশিকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। দেশে ফেরত পাঠাতে তাদেরকে ইতোমধ্যে নিউজার্সির ডিটেনশন সেন্টার থেকে লুজিয়ানা হয়ে টেক্সাসে নেয়া হয়েছে। বহিষ্কারের পথে রয়েছেন আরো ৯ জন বাংলাদেশী। নিউইয়র্কের অভিবাসীদের স্বার্থ সংশি¬ষ্ট বিষয়ে কাজ করা সংগঠন সেইফেস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা মাজেদা এ উদ্দিন ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, আগামী কাল ১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার আটককৃতদের দেশে ফেরত পাঠানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট-আইস। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে ওই ১৭ জনকে টেক্সাস থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে দেশে পাঠানোর কথা রয়েছে।
যেকোনো দিন তাদের নিজ দেশে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন ডিপোর্টেশনপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যরাও। এই তালিকায় নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী কাজী আজাদ আরজু, শফিকুল আলম, হারুনুর রশীদ, মোজাম্মেল হোসেন, নিউজার্সির আমিনুল ইসলামের নাম জানা গেছে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। নিউজার্সি থেকে আটক আমিনুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা আক্তার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, তার স্বামীকে লুজিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে।
জানা গেছে, বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হলে পাসপোর্টের প্রয়োজন। আটককৃতদের কোনো পাসপোর্ট নেই। কিন্তু ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট-আইস তাদের বাংলাদেশি হিসেবে সনাক্ত করে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ট্রাভেল ডকুমেন্ট বের করে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে।
আমিনুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানান, তার স্বামীর কোনো পাসপোর্ট ছিল না। এমন কি তিনি নিজে ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য আবেদনও করেন নি। কিন্তু ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তার স্বামীর ট্রাভেল ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন তারা। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিভাবে ট্রাভেল ডক্যুমেন্ট তৈরি হলো এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন রোজিনা আক্তার।
এবিষয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের ধরতে বাসা-বাড়ি ও কর্মস্থলে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসব অভিযানে প্রতিনিয়তই অসংখ্য অভিবাসী গ্রেফতার হচ্ছেন। বাসা-বাড়ি ও কর্মস্থলে হানা দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেফতার করছে অনেক বাংলাদেশিকেও।
সেইফেস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা মাজেদা এ উদ্দিন ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে আরো জানান, বহিষ্কারের পথে রয়েছেন আরো ৯ জন বৈধ কাগজপত্রহীন বাংলাদেশী। তাদের নিউজার্সির ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১জন মার্কিন সিটিজেনও রয়েছেন। তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সবাই সিটিজেন। তার বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও বাকী ৮ জনের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে মাজেদা এ উদ্দিন জনতার কন্ঠকে জানান। দেশে ফেরত পাঠাতে তাদেরকে নিউজার্সির ডিটেনশন সেন্টার থেকে লুজিয়ানা হয়ে টেক্সাসে নেয়া হবে যে কোন সময়ে।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here
Top